
প্রাইম নারায়ণগঞ্জ
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে সড়ক ও জনপথের জায়গার ওপর অবৈধভাবে নির্মাণ করা অবৈধ কার্যালয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নামে ভুইফোর এক সংগঠনের কার্যক্রম এমনটাই জানান স্থানীয়রা। সরকারী জমিতে অবৈধ কার্যালয় নির্মাণকে আ.লীগের সংবিধান বিরোধী কর্মকান্ড বলে আখ্যা দিচ্ছে তৃণমূল আ.লীগের নেতাকর্মীরা। শীর্ষ নেতারা বলছে, সরকারী জমিতে লিজ নিয়ে বৈধভাবে কার্যালয় করতে হবে। এদিকে, আগামী ৭ ডিসেম্বর সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানায় নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ।
জানা যায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ঠিক বিপরীত পার্শে¦ নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নিজস্ব জায়গায় দীর্ঘ সময় পূর্বে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কার্যালয়। এ কার্যালয়ে বসেই চলতো বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা শাখার কার্যক্রম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসপি অফিসের উল্টো দিকে টিনশেড দিয়ে বেশ বড় করেই নির্মাণ করা হয়েছে সৈনিক লীগের এ কার্যালয়ের। একেবারে ফুটপাতের ড্রেন ঘেষে কার্যালয়টি নির্মাণ করায় পথচারীদের চলাচলে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ কার্যালয়ের আশেপাশে আরো বেশ কয়েকটি চায়ের দোকানও দেখা গেলো।
কেন চায়ের দোকান বসিয়েছেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চা দোকানী বলেন, সৈনিক লীগের নেতারা কার্যালয় বানিয়ে শুধু শুধু বসে থাকেন তাতে আপনাদের সমস্যা হয় না। আর আমরা তো দোকান দিয়ে পরিবার নিয়ে দু বেলা ভাত খাচ্ছি তাতে সমস্যা। আগে তাদের (সৈনিক লীগের নেতাদের) গিয়ে জিজ্ঞেস করেন।
তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বলেন, এ ধরনের ভুইফোর সংগঠনের কারণেই আজ আওয়ামীলীগের বদনাম হচ্ছে। আওয়ামীলীগের শত উন্নয়ন চাপা পড়ে যাচ্ছে কিছু নামসর্বস্ব কিছু সংগঠনের বিতর্কিত কর্মকান্ডের নীচে। আ.লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ছাড়া অন্য সকল সংগঠনকে ইতিমধ্যেই আ.লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কাউয়ালীগ বলে আখ্যা দিয়েছেন বলেও জানায় তারা। তারা আরও বলেন, সেই হিসাবে সৈনিকলীগ সহ আরো বেশ কিছু সংগঠনকে কাউয়া লীগ বা ভুইফোর সংগঠন বলা যায়। আর এসব ভুইফোর সংগঠনের দায়-দায়িত্ব কোনোভাবেই আ.লীগ বহন করবে না বলেও মনে করেন তারা। তাই তারা এসব কাউয়া লীগ জাতীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আ.লীগ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, আমি এ বিষয়ে না জেনে এখন কিছু বলতে পারছি না। তারপরও যে কোনো সংগঠনই হোক না কেন নিয়ম অনুযায়ী সরকারী জমিতে কার্যালয় নির্মাণ করতে হলে লিজ নিয়ে করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ আওয়ামীলীগের কোনো অঙ্গ-সংগঠন না।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথের সাব ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই মাইকিং করছি। আগামী ৭ তারিখ সাইনবোর্ড থেকে চাষাড়া পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তারপরও আমি আগামীকাল এ কার্যালয়টির বিষয়ে দেখবো।
জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদেরকে ইতিমধ্যে নোটিশ দেয়া হয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে। তারা কিছুদিনের মধ্যেই উচ্ছেদ করবে।
No posts found.